এনআইডি দিয়ে মোবাইল নাম্বার চেক করার জন্য প্রথমেই যে জিনিসটি দরকার পড়বে সেটি হল আপনার নিজের এনআইডি কার্ড দিয়ে নিবন্ধিত যেকোনো একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
আরো পড়ুন: গুগল বার্ড কি ও এর আদ্যোপান্ত।
এরপরে কিভাবে কি করতে হবে সেটি চলুন দেখে নেয়া যাক।
এনআইডি দিয়ে মোবাইল নাম্বার চেক
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে SIM Card (Subscriber Identity/Identification Module) রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। এর পূর্বে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কোন প্রকার আঙ্গুলের ছাপ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হতো না। বর্তমানে একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টি SIM (Subscriber Identity Module) রেজিস্ট্রেশন করা যায়। তবে এই আর্টিকেলটি আপনি যখন পড়ছেন তথন এই তথ্যটি একই রকম নাও থাকতে পারে। কারণ সরকার যেকোন সময় এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন এর সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারে। তথ্যসূত্রঃ BTRC
এনআইডি দিয়ে মোবাইল নাম্বার চেক কেন করতে হবে?
এন আই ডি কার্ড বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট এবং একই সাথে এটি খুবই সেনসিটিভ একটি বিষয়। আপনার এন আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রিকৃত কোন সিম ব্যবহার করে যদি অন্য কেউ কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে ফেলে তাহলে প্রাথমিকভাবে এর দায় আপনার উপরে বর্তাবে সুতরাং আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে অন্য কেউ সিম রেজিস্ট্রেশন করেছে কিনা এটি জানা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

যদি অন্য কেউ আপনাকে না জানিয়ে আপনার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সেই সিমের রেজিস্ট্রেশন টি বাদ দিতে পারবেন। তাছাড়া আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে আপনি নিজে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেটি জানাও আপনার জন্য বেশ জরুরী।
সিম রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেখার নিয়ম
আপনার এনআইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলের ডায়াল অপশন থেকে *16001# এই নাম্বারটি ডায়াল করুন।

তারপর আপনার সামনে পুনরায় একটি ইনপুট ডায়লগ অপশন আসবে। সেখানে আপনার এনআইডি আইডি কার্ডের শেষের ৪ টি সংখ্যা টাইপ করে সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণ পরেই ১৬০০ এই নাম্বার থেকে একটি SMS এর মাধ্যমে আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন যে আপনার এন আইডি কার্ড দিয়ে আসলে কয়টি সিম এই মুহূর্তে রেজিস্টিকৃত আছে।
যদি বিষয়টি সংক্ষেপে বলি তাহলে এরকম দাঁড়ায়
- প্রথমে মোবাইলের ডায়াল অপশনে যাবেন।
- সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই কোড *১৬০০১# ডায়াল করুন।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের শেষ চার সংখ্যার লিখুন এবং সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন।
সিম রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেখার নিয়ম হিসেবে এই সহজ নিয়মটি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই চেক করতে পারবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ডিপফেক কি ও ১২ টি সেরা ডিপফেক প্রযুক্তি।
এনআইডি দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করে কি কি জানতে পারবেন?
- এনআইডি কার্ড দিয়ে মোট কয়টা সিম রেজিস্ট্রি করা আছে।
- কোন অপারেটরের কয়টি সিম রেজিস্ট্রি করা আছে।
- নিবন্ধিত সকল সিমের নাম্বার (আংশিক নাম্বার)
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক অনলাইন: এনআইডি দিয়ে মোবাইল নাম্বার চেক।
মোবাইল দিয়ে সিম চেক করা আসলে খুবই সহজ একটি কাজ। আপনারা নিশ্চয়ই কিভাবে নাম্বার ডায়াল করতে হয় সেই বিষয়টি জানেন। ঠিক একইভাবে এখানেও একটি বিশেষ নাম্বার লিখে ডায়াল করতে হয়। সেই নাম্বারটি হল *16001#
তারপর এই সিমটি যে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সে NID নাম্বারের শেষ চারটি সংখ্যা লিখে সেন্ড করতে হবে।
তারপর আপনি যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে উপরের নাম্বারটি সেন্ড করার কাজটি করতেছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি যে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রি করা সেই ভোটার আইডি কার্ডের শেষ চারটি সংখ্যা লিখে সেন্ড করুন।
আপনার পাঠানো তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে এসএমএস এর মাধ্যমে কিছুক্ষণ পরেই আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে যে আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে মূলত কয়টি সিম বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন অবস্থায় আছে। যে নাম্বার থেকে আপনাকে মেসেজ করে জানানো হবে সে নাম্বারটি হল ১৬০০১। সেখানে সিম সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে। যেমন এই রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রি করা হয়েছে, কোন অপারেটরের কয়টি সিম রেজিস্ট্রি করা হয়েছে এবং সকল সিমের আংশিক নাম্বারও সেখানে উল্লেখ থাকবে।
সিম রেজিস্ট্রেশন কার নামে জানার উপায়
সিম কার নামে নিবন্ধন করা সেটি চেক করার জন্য *১৬০০১# এই কোড ব্যবহার করতে হয়। কোন সিম কার নামে রেজিস্ট্রি করা বা নিবন্ধন করা সেটি জানা খুবই জরুরী এবং সেটি চেক করার জন্য এই কোডটি (*১৬০০১#) ব্যবহার করতে পারেন। এটিই মূলত সেই নাম্বার যে নাম্বারটি ডায়াল করে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন যে সিমটি কার নামে রেজিস্ট্রি করা।

আপনি যখন সিম রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে তো মেসেজটি পাবেন তখন সেখানে সকল নাম্বারের আংশিক দেখতে পাবেন আংশিক বলতে যা বোঝানো হয়েছে সেটা হচ্ছে আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে যতগুলো সিম আপনি রেজিস্ট্রেশন করেছেন এখানে তার একটি তালিকা আপনি দেখতে পাবেন কিন্তু নাম্বার গুলো সম্পূর্ণরূপে দেখতে পাবেন না মাঝখানের কিছু নাম্বার হাইড করা থাকবে আপনি মূলত নাম্বারগুলোর প্রথম এবং শেষের তিনটি ভিজিট করে দেখতে পাবেন মনে করুন আপনার মোবাইল নাম্বারটি যদি হয় এরকম 01789222222 তাহলে আপনি এই নাম্বারটি এরকম দেখতে পাবেন 017 *****222।
আপনার হয়তো মনে হতে পারে সম্পূর্ণ নাম্বারটি কেন দেখায় না। এর উত্তর হল যদি সম্পূর্ণ নাম্বার দেখা যেত তাহলে যে কেউই আপনার এনআইডি কার্ড এর নাম্বার ব্যবহার করে আপনার সকল নাম্বার জেনে যেত। সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা খুবই সমস্যায় পড়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্যই এরকমটি করা হয়। শুরুর এবং শেষের তিনটি ডিজিট দেখে আপনার বুঝে যাওয়ার কথা যে মাঝখানের নাম্বার গুলো কত। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার অপ্রয়োজনীয় নাম্বার গুলো খুব সহজেই রেজিস্ট্রেশনের আওতা থেকে বাদ দিতে পারবেন।
আমার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে
আপনার আইডি কার্ড দিয়ে আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে তা জানার জন্য এখন আর সিম কোম্পানিতে যাওয়ার কোন প্রয়োজন হবে না অথবা আপনাকে কোন কাস্টমার কেয়ারের সাথেও যোগাযোগ করতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে পারবেন। এমনকি আপনি জেনে খুশি হবেন যে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন চেক করার জন্য কোন ইন্টারনেটেরও প্রয়োজন নেই এমনকি স্মার্টফোনেরও প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে খুব সহজেই বাটন ফোন দিয়ে এই কাজটি করে ফেলতে পারেন উপরের দেখানো নিয়মে।
সিম অপারেটর | ডায়াল কোড |
রবি | *16001# |
এয়ারটেল | *16001# |
বাংলালিংক | *16001# |
আমি অনেক কি বলতে শুনেছি যে গ্রামীন সিমের ক্ষেত্রে নাকি বিষয়টি ভিন্ন কিন্তু আমি নিজে ব্যবহার করে দেখেছি যে গ্রামীন সিমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। একই কোড ডায়াল করে আপনি আপনার সকল নাম্বার সম্পর্কে জানতে পারবেন। গ্রামীণফোন এবং টেলিটক সিমের ক্ষেত্রে আপনি যদি এসএমএস এর মাধ্যমে জানতে চান তাহলে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন info এবং পাঠিয়ে দিন 4949 নাম্বারে। আপনার সিমটি টেলিটক হলে সে ক্ষেত্রে info লিখে ১৬০০ নম্বরে মেসেজ পাঠান। ফিরতি এসএমএসে আপনার আইডি দিয়ে নিবন্ধিত সিমের তথ্য জানানো হবে।
সিম অপারেটর | মেসেজ | নাম্বার |
গ্রামীণফোন | info | 4949 |
টেলিটক | info | 1600 |
সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করবেন কিভাবে
বিভিন্ন সময় নিজেদের প্রয়োজনেই নতুন করে সিম কিনতে হয়। সেক্ষেত্রে পুরাতন সিমটি আর ব্যবহার করি না। তো সে ক্ষেত্রে সেই সিমটিকে অহেতুক রেজিস্ট্রি অবস্থায় ফেলে না রেখে সেটিকে আনরেজিস্ট্রি করে দেয়াই বেটার। যদি সেটিকে আন রেজিস্টে না করেন তাহলে আপনার সেই সিমটি অন্য কেউ ব্যবহার করে আপনার ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
তাই নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই পুরাতন সিম টি কে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় না রাখায় ভালো তাছাড়া বর্তমানে ১৫ টি অধিক সিম আপনি একটি এনআইডির বিপরীতে রেজিস্ট্রি করতে পারবেন না সে ক্ষেত্রে অহেতুক ব্যবহৃত সিম এন আইডি কার্ডের বিপরীতে রেজিস্ট্রি করা না থাকাই ভালো খুব সহজেই আপনি উপরের দেখানো পদ্ধতি অবলম্বন করে কোন কোন সিম গুলোকে আপনি আন রেজিস্ট্রেশন করতে চান সেগুলো সিলেক্ট করে কাছাকাছি কোন কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট সিম গুলোকে আপনি আনরেজিস্ট্রি করে ফেলুন
পুরাতন সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
যদি আপনার পুরাতন সিমটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কাছাকাছি থাকা কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের নিকট সিম রেজিস্ট্রি বাতিল করার কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন করুন। তাহলে তারা খুব তাড়াতাড়ি আপনার সিমটির রেজিস্ট্রি বাতিল করে দিতে পারবে।
কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে যখন আপনি যোগাযোগ করবেন সিম সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য তখন কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনার কাছে কিছু তথ্য জানতে চাইবে এজন্য যে আপনি সিমটির সঠিক মালিক কিনা। সেক্ষেত্রে আপনার নাম, পিতার নাম, আইডি কার্ডের নাম্বার বা জন্মস্থান এছাড়াও সংশ্লিষ্ট আরো কিছু প্রশ্ন আপনাকে করতে পারে। এমনকি আপনার ঠিকানাও জানতে চাইতে পারে। সবকিছু যদি আপনি ঠিকঠাক বলতে পারেন এবং ডাটাবেজে থাকা সংরক্ষিত তথ্যের সাথে যদি আপনার দেয়া তথ্য মিলে যায় তাহলে কাস্টমার কেয়ার আপনার সিমটি রেজিস্ট্রেশন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তবে কিছু কিছু অপারেটর আছে যারা ফোনের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করে না। তারা কাস্টমারকে সরাসরি তাদের সাথে দেখা করতে বলে অর্থাৎ কাস্টমার কেয়ারে যেতে বলে। অনেক সময় তারা এনআইডি কার্ড শো করতে বলে। সে ক্ষেত্রে সিম রেজিস্ট্রেশন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য অবশ্যই এনআইডি কার্ড সাথে রাখা উচিত।
আশা করছি আজকের এনআইডি কার্ড দিয়ে সিম কার্ড চেক করার নিয়ম সম্পর্কিত লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সিমের রেজিস্ট্রেশন যাচাই সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে নিচের উত্তর পর্ব থেকে জেনে নিতে পারেন। তারপরেও জানার কিছু থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি আপনার বেশ উপকারে এসেছে। কিছু তথ্য হয়তো রিপিট হয়েছে সেটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যেহেতু এটি একটি ব্লগ তাই কিছু ক্ষেত্রে তথ্য সচেতনভাবেই রিপিট করা হয়েছে। যদি এ সম্পর্কিত আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানানোর অনুরোধ থাকলো।
একটি এন আইডি কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায়
BTRC সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে একটি এনআইডি / NID কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। কারো এই কোটা পূরণ হয়ে গেলে অপ্রয়োজনীয় / অকেজো সিমের নিবন্ধন বাতিল করে সেটির স্থলে নতুন সিম নিবন্ধন করা যাবে।
আমার আইডিতে কয়টি সিম রেজিস্ট্রি করা হয়েছে সেটি কিভাবে জানব
আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে মোট কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেটা জানার জন্য প্রথমে আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রি করা সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে এই নাম্বারে *১৬০০১# কল করুন। তারপর আপনার কাছে আপনার এনআইডি কার্ডের শেষের চারটি ডিজিট জানতে চাওয়া হবে তখন আপনি আপনার এন আইডি কার্ডের শেষের চারটি টিকিট দিয়ে দিন তারপরে তারা আপনাকে ফিরতে ম্যাসেজের মাধ্যমে সকল তথ্য জানিয়ে দিবে।
কোন একটি সিম কোন আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে সেটি কিভাবে জানবো
আইডি কার্ডের নাম্বার জানা থাকলে ওই আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম এবং কোন কোন সিম রেজিস্ট্রেশন করা তা জানা যায়। তবে দুঃখের বিষয় এই যে এখন পর্যন্ত শুধু সিম নাম্বার দিয়ে কোন আইডি দিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে সেটি বের করার কোন সুযোগ নেই।
পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধন বা ক্রয় করা যায়?
পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যাই হোক না কেনো, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ 15 টি সিম কার্ড নিবন্ধন করতে পারবে। এর বেশি সিম রেজিস্ট্রি করা কোনভাবেই সম্ভব নয় তবে সরকার চাইলে এটি বাড়াতেও পারে আবার কমাতেও পারে।
আমার নিবন্ধিত সিম অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা সেটা কিভাবে বুঝবো?
উপরে দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে আপনি এই কাজটি খুব সহজেই এখন করে ফেলতে পারবেন। প্রথমে যাচাই করুন আপনার এন আই ডি কার্ড দিয়ে কোন কোন সিম নিবন্ধন করা রয়েছে। তারপর সিমগুলো থেকে আপনার ব্যবহৃত সিমের তালিকা চিহ্নিত করুন। অপরিচিত সিম নাম্বার দেখতে পেলে বুঝতে পারবেন সেটি অন্য কেউ ব্যবহার করছে।
বাংলালিংক সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
প্রায় প্রত্যেকটা সিমেরই রেজিস্ট্রেশন চেক করার কোড একই। সেক্ষেত্রে বাংলালিংক এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলালিংক সিমের রেজিস্ট্রেশন চেক করার জন্য ফোনের ডায়াল মেনু থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন।
জিপি সিমের নিবন্ধন চেক করার নিয়ম কি?
এটা আগেই বলেছি যে প্রায় প্রত্যেকটা সিমেরই রেজিস্ট্রেশন চেক করার কোড একই। সেক্ষেত্রে জিপি সিমের নিবন্ধন চেক করার কোড একই। তবে ফ্রিতে এসএমএস পাঠাতে পারেন। এসএমএস এ লিখুন info আর সেটি পাঠিয়ে দিন 4949 নাম্বারে। ফিরতি মেসেজে আপনার আইডি কার্ডের সকল সিমের তালিকা দেখতে পাবেন।
শেষ কথা: এনআইডি দিয়ে মোবাইল নাম্বার চেক।
এনআইডি দিয়ে মোবাইল নাম্বার চেক করা এখন খুবই সহজ ইউটিউবে এই সম্পর্কিত অনেক তথ্যই আপনি পেয়ে যাবেন তবে বিভিন্ন ব্লগে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে আমি বিভিন্ন ব্লক থেকে তথ্য কালেকশন করে এখানে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি এনআইডি দিয়ে মোবাইল নাম্বার চেক সম্পর্কে যদি কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
Leave a Comment